নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের তফসিল আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
সংবিধান অনুযায়ী ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে আনুপাতিক হারে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সচিব বলেন, আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সারা দেশে ধাপে ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এজন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সচিব জানান, প্রথমে চার ধাপে আটটি বিভাগে নির্বাচন হবে। মেয়াদ শেষ না হওয়ার কারণে যেগুলো বাকি থাকবে, সেগুলোতে পরের ধাপে ভোট গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।’
সচিব বলেন, আজকের কমিশন সভায় সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কিশোরগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত ৩ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেছেন। যেহেতু উনি শপথ গ্রহণ করেননি, কিন্তু গেজেট নোটিফিকেশন হয়ে গেছে, তাই এখানে আইনগত জটিলতা আছে।
সচিব বলেন, সংসদ সচিবালয় থেকে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরে, এ আসনে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সুতরাং এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত প্রদান করেনি কমিশন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে বিজয়ী হলেও শপথ নেওয়ার আগেই মারা যান সৈয়দ আশরাফ। দীর্ঘদিন ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগেছিলেন তিনি। গত ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে নিয়ম অনুযায়ী ৫০টি আসন। রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্যান্ডিডেটের বিষয়ে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে চিঠি দেবে কমিশন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি তফসিল।
সচিব বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্মারকলিপি ও তার জবাবে আওয়ামী লীগের পাল্টা স্মারকলিপির বিষয়ে কমিশন বলেছে, নতুন করে নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবে।